৩০ মে ২০২৩, ২০:০০

জাবির ছাত্রী হলে বিড়াল পালনে নিষেধাজ্ঞা

  © টিডিসি ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জাহানারা ইমাম হলে বিড়ালসহ অন্যান্য চতুষ্পদ প্রাণী পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৩০ মে) ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুরশেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহানারা ইমাম হলের অভ্যন্তরে কোনো কোনো ছাত্রী বিড়াল পোষেন। এর ফলে অসুবিধা হচ্ছে বলে অন্য অনেক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন। এ কারণে যারা বিড়াল বা অন্যান্য চতুষ্পদ প্রাণী পুষছেন, তাদের আগামী ৫ জুনের মধ্যে সেসব প্রাণী হলের বাইরে রেখে আসার জন্য বলা হলো। ৬ জুন থেকে হল প্রশাসন ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিড়াল ও অন্য চতুষ্পদ প্রাণী সরাতে ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে জাহানারা ইমাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আয়েশা ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিড়াল কমবেশি সবার কাছেই সৌখিন প্রাণী। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এমন পোষা প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ থাকা স্বাভাবিক। তবে সবার কাছে ত বিষয়টি একরকম না। বিশেষ করে বিড়ালের লোম ও আঁচড় অনেক সময় বড় রোগের সৃষ্টি করে। ফলে একজনের পোষা বিড়াল অন্যজনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা তাবাসসুম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কিছু প্রজাতির বিড়াল পুষতে দেখে খুব ভালো লাগে। তবে এসব প্রাণী পালতে দরকার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ। যা বাসা বাড়িতে সম্ভব। আর বিড়াল তো বেঁধে পালন করা যায় না। একদিন রাতে পাশের রুমের একটি বিড়াল আমার বিছানাতে মল ত্যাগ করেছিল। তাই এসব আবাসিক হলে একজনের শখ আরকেজনের বিরক্তির কারণ হতে পারে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ মুরশেদা বেগম বলেন, হলে থাকা বিড়াল অনেক সময় ছাত্রী ও কর্মচারীদের আঁচড় দেয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আমাকে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া বিড়ালগুলোর কারণে হল ও ডাইনিংয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সবার কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কুকুর ও বিড়ালের কামড়-আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি জনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই মেডিকেলে এসব প্রাণীর আঁচড় বা কামড় লেগেছে বলে চিকিৎসা নিতে আসেন। আমি তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এসব প্রাণী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেই।