‘বঙ্গবন্ধুর মত বিশ্ববন্ধু অভিধা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহৃত হওয়া দরকার’
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৩, ০৩:২০ PM , আপডেট: ২৩ মে ২০২৩, ০৩:২০ PM
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু অভিধার মত বিশ্ববন্ধু অভিধাটি সর্বত্র স্বীকৃত হওয়া দরকার।
মঙ্গলবার (২৩ মে) ‘বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুড়ি শান্তি পদক’ প্রাপ্তি উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৬৯ সালে দেওয়া বঙ্গবন্ধু উপাধি বাঙালি জাতির দেওয়া এক অকৃত্রিম উপহার, তেমনি ১৯৭৩ সালে জুলিও কুড়ি পদক বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক এক অকৃত্রিম উপহার। বিশ্ববন্ধু পদকটি ঘোষিত ও স্বীকৃত হলেও বঙ্গবন্ধুর মত সর্বত্র ব্যবহৃত হচ্ছে না। এটি সর্বত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহৃত হওয়া দরকার।
এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূলনীতি ছিল বিশ্বশান্তি। সর্বত্র তিনি বিশ্বশান্তির কথা বলতেন। কিন্তু আজকে আমি সংবাদপত্র পড়ে এ নিয়ে তেমন কোনো লেখা পেলাম না। বাঙ্গালী জাতির জন্য এটি একটি আত্মঘাতী ব্যাপার।
১৯৫৬ সালে স্টকহোমে হওয়া বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তো কোনোকিছু সংরক্ষণ করে না, কিন্তু তার নাম নিয়ে রাজনীতি করে। না হলে ১৯৫৬ সালে বিশ্বশান্তি সম্মেলনে তিনি যা বলেছিলেন তা সংরক্ষিত হত। আমি অনেক খুঁজে কোথাও এটি পাই নাই।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য এ পুরস্কার ছিল এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। পাশাপাশি এই স্বীকৃতি ছিল বাঙালি জাতির জন্য। অন্য সবকিছুর মত তিনি এ পুরস্কার বাংলাদেশ তথা তৃতীয় বিশ্বের অসহায় মানুষকে উৎসর্গ করেছিলেন। বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের সেই নীতির প্রয়োগ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ প্রমুখ।