২১ মে ২০২৩, ১৭:২০

রাবিতে তৃতীয়বারের মতো পালিত হল বিশ্ব মেডিটেশন দিবস

  © টিডিসি ফটো

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পালিত হয়েছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস-২০২৩। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ভাল মানুষ ভাল দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ।’

রবিবার (২১ মে) ভোরে স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে আলোচনা সভা ও সম্মিলিত মেডিটেশনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস) এর অধ্যাপক ড. এম. মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসময় বক্তারা বলেন, মানুষ ভাল হলে এবং ভালোর সংখ্যা বেড়ে গেলেই ভাল দেশ গড়া সম্ভব, দেশকে স্বর্গভূমিতে রূপান্তর সম্ভব। আর ভাল মানুষ হতে হলে নিজের যথাযথ যত্ন নিতে হবে। অর্থাৎ নিজের দেহ মন পরিবার ও আত্মার যত্ন জরুরি। যত্ন নেওয়ার সার্বিক দিক-নির্দেশনা সম্বলিত একটি অনন্য বই ‘শুদ্ধাচার।’ শুদ্ধাচারের এত খুঁটিনাটি বিষয় আছে, যা অন্য কোনও বইতে আছে বলে আমাদের জানা নেই।

তারা বলেন, নিয়মিত মেডিটেশন মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্তা এবং শুভ শক্তিকে জাগিয়ে তোলে, নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় মনের রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ-হতাশা, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ দূর হয়। নেতিবাচকতা থেকে ইতিবাচকতায় বদলে যায় দৃষ্টিভঙ্গি। মন প্রশান্ত থাকলে, মনে মমতা জাগলে পারিবারিক, পেশাগত, সামাজিক সম্পর্কগুলোও সুন্দর হয়ে ওঠে। মানসিক চাপমুক্ত থাকা যায় বলে বাড়ে পেশাগত দক্ষতা। শুধু নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করেই একজন মানুষ পেতে পারেন প্রশান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য।

এসময় সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপুল কুমার বিশ্বাস, উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. উম্মে কুলসুম আকতার বানু, রাবি স্কুল ও কলেজের প্রভাষক মো. সুলতান সামসুদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে শুধু আজ রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হলে থাকছে বিশেষ আলোচনা সভা।

উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হচ্ছে দিনটি। বছর পাঁচেক আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম এ দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। উইল উইলিয়ামস অনিন্দ্রার রোগী ছিলেন। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময়ের পর তিনি এ সম্পর্কে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন।