আশ্বাসের পর আন্দোলন স্থগিত করল চবি ছাত্রলীগ
খাবারের মূল্য বৃদ্ধি, ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়, ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি, হলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ নানা কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রধান গেট আটকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ। পরে রাত সাড়ে ৯টার আগেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
জানা যায়, গত ১৬ মে থেকে চবিতে ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার শুরু থেকেই খাবারের দাম, রিকশা এবং বাসভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করার পরও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরই প্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু জানান, অসংখ্য শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। হলে থাকে না বিদ্যুৎ ও পানি। হাজার হাজার ভর্তিচ্ছুর কষ্ট দেখেও দেখার কেউ নেই। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে পারে না। আমাদের দাবিগুলো অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে তারা কাল থেকে বিষয়গুলো জোরালোভাবে দেখবেন। সেই আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, কিছু অভিযোগে ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলন শুরু করে। অভিযোগগুলো আমরা আগেও পেয়েছি। এরই মধ্যে বিকেলে ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণে কয়েকজন বাস সিএনজিচালককে জরিমানাও করা হয়েছে। কাল থেকে আরও কঠোরভাবে বিষয়গুলো দেখা হবে।