ঢাবি ছাত্রলীগ সম্পাদকের মধ্যস্থতায় কমলো শরবতের দাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শ্যাডোর দোকানে লেবুর শরবতের দাম কমানো হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছেন এবং প্রশংসায় ভাসছেন তানভীর হাসান সৈকত।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাবির শ্যাডোর শরবতের দোকানে গিয়ে সংশ্লিষ্ট লোকজনদের আলোচনার সাপেক্ষে শরবতের দাম কমানো হয়। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘শরবত ১০ টাকা’ এমন ব্যানার লাগিয়ে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাবির শ্যাডোতে শরবতের দাম ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। তবে কয়েকদিন আগে কোন কারণ ছাড়াই শরবতের দাম বৃদ্ধি করে ১৫ টাকা রাখা হচ্ছিল। এই গরমের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট অংশ লেবুর শরবত খেয়ে অভ্যস্ত। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের বেশি দামে লেবুর শরবত কিনতে হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো লেবুর শরবত ১০ টাকা করে রাখা হলেও শ্যাডোর দোকানে অযৌক্তিকভাবে বেশি দাম রাখা হচ্ছে। ‘জিনিস-পত্রের দাম বাড়ছে’ এই অজুহাতে মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছিল। কিসের ভিত্তিতে ১৫ টাকা দাম রাখছিল এর উত্তর তাদের কাছে নেই।
বিষয়টি দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আলোচনার ভিত্তিতে দাম কমানোর উদ্যোগ নেন। তিনি দোকানের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে লেবুর শরবত ১৫ টাকা থেকে ১০ টাকা করেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারি। সেখানে একটু লেবুর রস, এক টুকরা বরফ, পানি ও চিনি দেয়। পানিটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের; সেখানে এত খরচ কেমনে পড়বে? এটা শিক্ষার্থী জন্য ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে কম দামে খাবার পাওয়া যায়। সেখানে এই শরবতের দাম শিক্ষার্থীদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আমি সংশ্লিষ্ট লোকদের সাথে আলোচনা করে ১০ টাকা করে রাখতে বলেছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাদেরকে জানালে আমরা তাদের জন্য কাজ করবো।