০৪ মে ২০২৩, ১৯:১৪

মুক্তি রানী হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

মুক্তি রানী হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

নেত্রকোনার বারহাট্টায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণকে (১৬) কুপিয়ে হত্যায় জড়িত মো. কাওসার মিয়াকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে মানববন্ধন করেছে প্রীতিলতা ব্রিগেড একটি নামের একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রীতিলতা ব্রিগেডের পক্ষ থেকে এ মানবন্ধন ও সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এসময় মুক্তি হত্যার দ্রুত ও সর্বোচ্চ বিচার, নারীর জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠন এবং ইভটিজিং বিরোধী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। মানববন্ধনে প্রীতিলতা ব্রিগেডের সাবেক সভাপতি মুনা নূরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে প্রীতিলতা ব্রিগেডের সমন্বয়ক সুমাইয়া সেতু বলেন, আমরা দেখি যে হত্যার শিকার ও যে হত্যা করেছে তারা দুজনেই কিশোর বয়সের৷ বর্তমানে গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গ্যাং আগে বেশি একটা ছিল না। এসব বর্তমানে নতুন সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। এর কারণ কি! মানুষের মানুষ হয়ে গড়ার উপাদান এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা করতে পারছে না। শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশ এই সরকার দিতে পারছে না বলে তারা মানুষ হিসেবে গড়ে না উঠে অমানুষ হয়ে গড়ে উঠছে। বর্তমানে ক্ষমতার আশ্রয়ে অপরাধ করলেও ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে কিংবা বিচারের আওতায়ই আসছে না। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলেই গ্রামে গঞ্জে অপরাধ বেড়েই চলছে।

সুমাইয়া সেতু আরও বলেন, মুক্তি রানী আগেও তাকে উত্ত্যক্ত করছিলো বলে অভিযোগ করেছিলো কিন্তু তার নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা প্রশাসন বা এলাকার মানুষজন করেনি। আমরা আগেও বলেছি প্রতিটি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী সেল থাকার জন্য। এই সেল আজ সেই স্কুলে থাকলে হয়তো মুক্তিকে মরতে হতো না। এসব অনিরাপত্তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। এই শিক্ষাব্যবস্থা এমন কোন নৈতিক শিক্ষা দিতে পারছে না বলে আজ সমাজ এমন অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। মাদক পর্ণোগ্রাফির আসক্তি এসব কিশোর গ্যাং তৈরি হয়ে উঠেছে। আর এসবে আসক্তির কারণ হলো সুস্থ সংস্কৃতির অভাব।