বাঁচতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খায়রুল, প্রয়োজন ৩৫ লাখ টাকা
সিস্টিক ফাইব্রোসিস ও ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধাবী শিক্ষার্থী খায়রুল আনাম। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকার প্রয়োজন যা পরিবারের পক্ষে মেটানো অসম্ভব। তাই এই মেধাবী শিক্ষার্থীকে সুস্থভাবে সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন খায়রুল আনামের ছোট ভাই অলিদ বিন শফিক, তার বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
সহপাঠীদের সুত্রে জানা যায়, খায়রুল আনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের বাসা সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায়। দুই বছর আগে বাবার চামড়ার ব্যবসায় ধ্বস নামলে সিরাজগঞ্জের পৈতৃক দুইটি বাড়ি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করে পথে বসার উপক্রম হয় খায়রুলের পরিবারের। পরে তিনি ও তার ছোট ভাই অলিদ হাল ধরেন পরিবারের। নিজেরা অনলাইনে গার্মেন্টসে তৈরি টি-শার্ট বিক্রি করে সংসার চালাতেন। কিন্তু হঠাৎ তার এই রোগ ধরা পড়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার চিকিৎসা।
আরো পড়ুন: মেডিকেলের পর ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের গুজব ফেসবুকে
খায়রুল ছোটবেলা থেকেই অ্যাজমায় ভুগছিলেন। গত দুই মাস আগে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত লাইফ কেয়ার মেডিকেল সেন্টারে তার মরণব্যাধি সিস্টিক ফাইব্রোসিস ও ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি শ্যামলীর টিবি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন। এর আগেও তিনি কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও গত ৩০ এপ্রিল তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
ডাক্তারের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বা ঔষধও কিনতে পাওয়া যায় না। শুধু আইসিইউতে রেখে কোন রকমে জীবন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফুসফুস ট্রান্সপ্লান্ট করতে তাকে ভারত কিংবা ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কিন্তু এয়ার এম্বুলেন্সে ভারতে নেওয়া এবং সেখানে ফুসফুস ট্রান্সপ্লান্ট করতে প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। বিশেষত ফুসফুসের স্থানান্তর অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে USA,UK,কানাডায় এই রোগের ঔষধ পাওয়া যায়। কিন্তু এই রোগের প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৩০০ ডলার। USA,UK,কানাডায় যাদের হেলথ ইন্সুরেন্স আছে তারা ৫-১০ ডলারে এই ঔষধ নিতে পারবে।
খায়রুল আনামের ছোট ভাই অলিদ বিন শফিক বলেন, ভাইয়ার যেই রোগ সেটার একমাত্র চিকিৎসা USA, UK, কানাডায় পাওয়া যায়। কিন্তু সেটারও অত্যধিক দাম। যারা USA,UK অথবা কানাডায় আছেন বা যাদের পরিচিত কেউ আছে তারা যদি কোন উপায়ে ঔষধটা সরবরাহ করতেন তাহলে হয়তো ভাইয়ের জীবন বেঁচে যেত।
তিনি আরো বলেন, ফুসফুস ট্রান্সপ্লান্ট করতে ভারতে যেতে হবে। কিন্তু এতে ৩০-৩৫ লাখ টাকা প্রয়োজন যা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মেটানো একেবারেই অসম্ভব। বাবার ব্যবসায় ধ্বস নামার ফলে পৈতৃক দুইটি বাড়ি বিক্রি করায় আমাদের আর কোন স্থায়ী সম্পদও নেই। তাই আমরা সকলের সাহায্য কামনা করছি।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: 01763295203 (বিকাশ/নগদ/রকেট) খায়রুল আনামের ছোট ভাই অলিদ বিন শফিক
একাউন্ট নাম্বার: ১৬৪১১০০০৬১৬২৯
রাউটিং নাম্বার: ০৯০২৬৩১৩৬
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
ব্রাঞ্চ: মিরপুর সার্কেল-১০
কার্ড নাম্বার: ০১২৯৭৮৫৪৬৮৬
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড