ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় শিক্ষকের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করলেন কর্মকর্তারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের পরিবর্তে কর্মকর্তাদের দিয়ে পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সমালোচনা করে শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকতেও কেন কর্মকর্তাদের প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হলো?
গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় শিক্ষকদের বাদ দিয়ে কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করানোর এই অভিযোগ ওঠে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেকোনো ধরনের পরীক্ষায় সচারচর বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষকদের হলে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। পরীক্ষার প্রশ্নে কোনো সমস্যা হলে শিক্ষকরা সেটি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দেন। তবে ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় শিক্ষকদের পরিবর্তে কর্মকর্তারা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাবির বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাফী মো. মোস্তফা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি নিজেই পরীক্ষার হলে ছিলাম। সেখানে কর্মকর্তাদের প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা শিক্ষার্থীদের খাতায় স্বাক্ষর করেছেন৷ পরীক্ষার হলে ঢুকে দেখলাম সাত-আটজন প্রত্যবেক্ষক ছিল। এরমধ্যে দুই জন ছিল শিক্ষক। আর বাকী সবাই কর্মকর্তা ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভাগের ১৩ জন শিক্ষক প্রত্যবেক্ষকের কাজের জন্য যোগ্য। ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজনকে জনকে এই দায়িত্বে আহ্বান করা হয়েছে। তার মানে বাকি আটজনকে এই দায়িত্বের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ শিক্ষকদের রেখে কর্মকর্তাদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করানো হয়েছে। বিষয়টি অকওয়ার্ড লেগেছে। কারণ, কর্মকর্তাদের প্রত্যবেক্ষকের অভিজ্ঞতা নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের একাডেমিক পরীক্ষায় কখনো কর্মকর্তাদের প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয় না। তবে মাঝে মাঝে শিক্ষকের ঘাটতি থাকলে চাকরির পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষায় কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও কেন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এ সম্পর্কে চারুকলা ইউনিটের সমন্বয়কারী নিসার হোসেন ভালো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চারুকলা অনুষদের ডিন ও ‘চারুকলা ইউনিট’ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক নিসার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।