সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে সজাগ থাকতে হবে: জবি ভিসি

‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ প্রতিপাদ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা ।
‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ প্রতিপাদ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা ।  © টিডিসি ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। কোনক্রমেই যেন অপশক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

উপাচার্য বলেন, আমরা শান্তি ও সম্প্রীতি চাই। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। তবুও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সামনে এগিয়ে যেতে হবে। 

এছাড়াও সারাদিন মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকাল ৯.৩০মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরে আসে।শোভাযাত্রায় শান্তির প্রতীক হিসেবে কবুতরের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়, এছাড়াও বড় আকারের লক্ষীপ্যাঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতার প্রতিকৃতি স্থান পায়। 

শোভাযাত্রায় শান্তির প্রতীক হিসেবে কবুতরের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয় । ছবি: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তুলেন। 

পরবর্তীতে, বিশ্ববিদ্যালয়েরর রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, বার্তাসহ শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়। 

মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ অংশগ্রহণ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ