রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
গত ২৬ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী হলের সিট ছাড়া নিয়ে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রমান পেয়ে অভিযুক্ত রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে আরও চারটি শাখার চারজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আরিফ হোসেন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নীলফামারী জেলা শাখা), মো. মনিরুল ইসলাম (সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), রবিন হাসান রকি (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বেলকুচি উপজেলা শাখা, সিরাজগঞ্জ জেলা), রানা মন্ডল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখা, সিরাজগঞ্জ জেলা) ও সবুজ মালাকার (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আমতলী উপজেলা শাখা, বরগুনা জেলা)- কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হল।
আরও পড়ুন: ‘হল কি তোর বাপের, ব্লকে থাকতে হলে টাকা দিতে হবে’
এই প্রসঙ্গে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, কিছুদিন আগে হবিবুর রহমান হলে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হলের মারধরের ঘটনায় আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বিষয়টি অবহিত করি। শিক্ষার্থীদের যেকোনও প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকা ছাত্রলীগের দায়িত্ব। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্মের সাথে যুক্ত হলে, তাহলের তার দায়ভার কখনোই সংগঠন নিবে না। তারই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ রাতে রাবির শহিদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী হলের সিট ছাড়া নিয়ে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় একটি অভিযোগও জানান ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযোগে তিনি জানান, ২৬ মার্চ বিকেলে মনিরুল তার রুমে গিয়ে সিট ছেড়ে চলে যেতে বলেন এবং চলে না গেলে প্রাণে মারার হুমকি দেন। এ ঘটনার পরে রাতে আবার মনিরুল ২০-২৫ জনসহ তার কক্ষে গিয়ে বলে যে, তোকে না রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিলাম? তুই এই রুমে এখনো কী করিস? হল কি তোর বাপের? আমার এই ব্লকে থাকতে হলে আমাকে টাকাপয়সা দিয়ে থাকতে হবে।