মোটরসাইকেলে হাত রাখা নিয়ে রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি
মোটরসাইকেলে হাত রাখাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জেরে মাদার বখশ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিককে মারধর করেছে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের গেটে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হল গেটে শফিউর রহমান রাথিকের মোটরসাইকেলে হাত রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক গালিবের অনুসারী ইজাজুল ইসলাম মুন্না। এসময় রাথিক মুন্নাকে বলে ‘ক্যাম্পাসে এতো সাইকেল-বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে, তুই কি আমার বাইক চুরি করার চিন্তা করছিস নাকি?’। এতে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ৭-৮ জন ছাত্রলীগ কর্মীসহ হল গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন হল ছাত্রলীগ নেতা মুন্না। এসময় রাথিক সেখানে আসলে মুন্না সকালের আচরণের কারণ জানতে চান। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মুন্না ও তার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন কর্মী মিলে রাথিককে মারধর করে।
এ বিষয়ে মাদার বখশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে বিষয়টি সমাধান হয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘আমার কয়েকজন ছেলের সঙ্গে রাথিকের একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর কথায় বিষয়টি সমাধান করা হয়।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে কয়েকজন সহকারী প্রক্টর সেখানে যান। পরে জানতে পারি বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।