‘হল কি তোর বাপের, ব্লকে থাকতে হলে টাকা দিতে হবে’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। রোববার (২৬ মার্চ) রাতে আবাসিক হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের ৪০৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ফয়সাল আহমেদ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি হলের ৪০৪ নম্বর কক্ষে থাকেন। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মনিরুল ইসলাম স্বপনসহ ২০-২৫ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন। স্বপন থাকেন ৩০৫ নম্বর কক্ষে।
ফয়সালের অভিযোগ, রোববার বিকেলে স্বপন তার কক্ষে গিয়ে সিট ছেড়ে দিতে বলেন। চলে না গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আহাদ নামে এক শিক্ষার্থীর জিনিসপত্র কক্ষে রেখে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি২০-২৫ জনসহ কক্ষে যান। তিনি বলেন, ‘তোকে না রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিলাম? হল কি তোর বাপের? আমার ব্লকে থাকতে হলে আমাকে টাকা-পয়সা দিয়ে থাকতে হবে।’
তখন প্রতিবাদ করলে গেঞ্জির কলার ধরে টেনে-হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি বের না হলে সবাই মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে স্বপন লাঠি দিয়ে হাতে সজোরে আঘাত করে বিছানাপত্র বাইরে ফেলে দেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফয়সালে জানান, আহাদ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে যান। তবে তার জিনিসপত্র ৪০৪ নম্বর কক্ষেই আছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মনিরুল ইসলাম স্বপন বলেন, সিটে অ্যাকাউন্টিং বিভাগের আহাদ নামের ছোট ভাইকে বরাদ্দ দিয়েছে। তাই তাকে অন্য সিটে যেতে বলেন। কিন্তু সে উল্টো খারাপ আচরণ শুরু করে। তখন তর্কবিতর্ক হয়। মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, মারধরের বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে ছাত্রলীগের কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, রাতে বিষয়টি শোনার পরে দু’পক্ষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ফয়সালকে ৪০৪ নম্বর কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া আছে। কিন্তু স্বপন তৃতীয় তলায় বরাদ্দ দেওয়া এক ছেলেকে ফয়সালের সিটে ওঠাতে চেয়েছিল। সকালের মধ্যে ওই ছেলেকে তার বরাদ্দকৃত সিটে চলে যেতে বলা হয়েছে। কথা না শুনলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।