আইইউটির বিয়ন্ড দ্যা মেট্রিক্সে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০০ শিক্ষার্থী
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) বিয়ন্ড দ্যা ম্যাট্রিক্সে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। বুধবার (২২ মার্চ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য হল একটি প্রতিযোগিতামূলক উপায়ে বাংলাদেশের তরুণদের সৃজনশীল ধারণাগুলো উপস্থাপন করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। এই সেক্টরের সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের একত্রিত করার। অনুষ্ঠানটি ব্যবসায়িক এবং প্রযুক্তিগত কার্যক্রমকে উৎসাহিত করেছে।
অনুষ্ঠানটিতে শীর্ষস্থানীয় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের ব্যবসা এবং প্রযুক্তি উৎসাহীদের জন্য মোট ছয়টি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই ফেস্টের মধ্যে ছিল, স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল প্রজেক্ট ডিসপ্লে এবং ওয়াল ম্যাগাজিন, কুইজ কম্পিটিশন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল বিজনেস কেস কম্পিটিশন, এড ম্যানিয়া এবং প্রজেক্ট এড ডিসপ্লে।
স্কুল ও কলেজের মধ্যে অংশগ্রহণ করে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা কলেজ, ভিকারুন্নেসা, একাডেমিয়া এবং রাজউকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছিল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, ইনস্টিটিউট অফ বিসনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন , বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিসহ আরও অনেকে।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্স আপকে নগদ ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হয়। শেষে সনদপত্রও বিতরণ করা হয়েছে। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার্সআপ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ শিক্ষার্থীদের মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
এই ফেস্টে দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে প্রোডাক্ট সামিট অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন পাঠাও-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাহাদ আহমেদ ও শিখো-এর সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার রিফাত বিন আলম রহিত।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। পরে তার বক্তব্যে বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
বিটিএম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনেক দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আমরা আজকে এই ফেস্টটি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমাদের বিভাগের সকল শিক্ষককে এবং আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থীদেরকে।
বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ফেস্টের প্রতিষ্ঠা সভাপতি মো. রিয়াজ মাহমুদ শুভ বলেন, অনেক দিনের স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবতায় রূপ নিলো। কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য এবং সেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত ত্যাগ ও তিতিক্ষা ছাড়া এই স্বপ্ন শুধুমাত্র স্বপ্নই থেকে যেত। প্রতিযোগিতায় আগত প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং সকল পৃষ্ঠপোষকদের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।