জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের দোসর ছিলেন: নানক
- ঢাবি প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৮ AM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:১৩ AM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের দোসর ছিলেন। বুধবার (২২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমাদেরকে শত্রু মিত্র চিনতে হবে। এটা চিনতে ব্যর্থ হলে স্বাধীনতা ম্লান হয়ে যাবে, স্বাধীনতা বিরোধী দোসররা দেশের ক্ষমতায় বসা সহ আমাদের জন্য সামনে ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানিদের সাহায্য না করলেও পরোক্ষভাবে, গোপনে পাকিস্তানের কাছে তথ্য পাচার করতেন। তিনি স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের দোসর ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আসার কথা ছিলো। ছাত্র শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করার কথা ছিলো কিন্তু সেই কাক ডাকা ভোরে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভর্তি অস্ত্র খালাস করেছিলেন যেনো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায়, বাঙালি জাতির মাথায় অস্ত্র তাক করা যায়। শুধু তা-ই নয়, জিয়া পুত্র তারেক জিয়া হাওয়া ভবন তৈরি করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করেছেন।
আমি বিএনপির নেতাদের বলবো, আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, বাক স্বাধীনতার কথা বলেন, অথচ আপনাদের ক্ষমতায় থাকাকালে আমরা কথা বলতে পারিনি। আপনারা আমাদের হত্যা করেছেন, গলা চেপে ধরেছেন, অফিসের বাইরে বের হতে দেননি, ব্যবসায়ী নেতাদের ধ্বংস করেছেন, হাত পা কেটে নিয়েছেন, সন্তানের সামনে মাকে, ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের সামাজিক কাজের ভূয়সী প্রশংসা উপাচার্যের
কোনো কিছুতেই আমাদের দমাতে না পেরে বঙ্গবন্ধু তনয়াকে কে হত্যার জন্য হামলা চালিয়েছেন। এসময় তিনি ছাত্রলীগের সহযোগিতায় আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পুনরায় বিজয়ী করে সবাই মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এসময় বিশেষ আলোচক হিসেবে আওয়ামী লীগের সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য রাখেন।