চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ১
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বে-ক্রুজ-ওয়ানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে করা মামলায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া শাকিল (২৭) এই মামলার তিন নম্বর আসামি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার।
গত মঙ্গলবার বিকালে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের পথে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বে-ক্রুজ-১ এ বসা নিয়ে বিতণ্ডার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের একদল শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, অর্থনীতি বিভাগের ৭৬ জন সদস্যসহ বাদী রবিবার শিক্ষাসফরে সেন্ট মার্টিন যান। সেখান থেকে মঙ্গলবার ফেরার সময় একই জাহাজে তাদের নামে ক্রয় করা সিটে বিনা টিকেটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের বসিয়ে রাখে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের সুপারভাইজার ১ নম্বর আসামি লুৎফর রহমান খোকনকে অভিযোগ করলে; তিনি সমাধান না করে উল্টো বাদীপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে উচ্চস্বরে চেঁচামেচিসহ উদ্ধত আচরণ করেন এবং এ পর্যায়ে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আনোয়ার হোসেনকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও ঘটনার এক পর্যায়ে তাকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে’ জাহাজ হতে সাগরে ফেলে দেওয়ার জন্য বুকে সজোরে লাথি মারেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে জানানো হয়েছে, জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছালে বাদীসহ শিক্ষার্থীরা জাহাজ থেকে নামার জন্য ডেকে অবস্থানকালে আসামিরা এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন লাঠি-সোটা, লোহার রড নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করেন। এতে বাদীপক্ষের লোকজন রক্তাক্ত জখম হন এবং লাঠি-সোটা ও লোহার রডের আঘাতে আহত হন এবং আসামিরা বাদীর পকেট থেকে নগদ ২,৫০০ টাকা ছিনতাই করে বলেও অভিযোগ করা হয়। পরে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করেন।
মামলার এজাহারে অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের মালিক বাহাদুর ও সুপারভাইজার লুৎফর রহমান খোকন।
মামলার বাদী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আ ফ ম ফজলে রাব্বি চৌধুরী জানান, তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। রাতেই তিনি বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে বুধবার বিকালে কক্সবাজার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।