ঢাবিতে ভূমিকম্প ও অগ্নি নির্বাপক মহড়া অনুষ্ঠিত
ঢাবিতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ভূমিকম্প ও অগ্নি নির্বাপক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি ) ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কলা ভবনে এই ভূমিকম্প ও অগ্নি নির্বাপক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে হঠাৎ আগুন লাগলে তা নেভানোর উপায়, ফায়ার সার্ভিসের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবে, ভূমিকম্প প্রতিরোধে করণীয়, হঠাৎ ভূমিকম্প হলে শিক্ষার্থীরা কি করবে, দূর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধারের উপায় ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে হাসপাতালে পাঠানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সর্বসাধারণের করণীয় দিকগুলোর ব্যাবহারিক শিক্ষা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোছাম্মৎ শাহানারা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক ড. দিলারা জাহিদের সভাপতিত্বে মহড়া পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপসহকারী পরিচালক মো: বজলুর রশিদ। এসময় ইন্সটিটিউটের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত জবির
ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের পরিচালক ড. দিলারা জাহিদ বলেন, আমরা জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করলেও বর্তমানে দেশে ঘন ঘন আগুন লাগা, বিভিন্ন দেশে ঘন ঘন ভূমিকম্প হওয়ায় দেখে আমরা সরাসরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। এর ফলে সহজে আমরা কম ক্ষতির মাধ্যমে আকস্মিক দূর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারি। এসময় তিনি প্রতিটি হলে এবং অনুষদ ভিত্তিক এই প্রশিক্ষণের আয়োজনের আহবান ব্যক্ত করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপসহকারী পরিচালক মো: বজলুর রশিদ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজ, হাট বাজারে অগ্নি নিরাপত্তা, উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসার উপায়, ভূমিকম্প হলে তাৎক্ষণিক কি করতে হবে সেসব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আজকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের অনুরোধে কলা ভবনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে এই মহড়ার আয়োজন করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল উদ্যেশ্য হল, দেশের সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীরা যেন সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে, সকল ঝুঁকি সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে এবং দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারে।