১৫ মার্চ ২০২৩, ২০:৩৪

জাবিতে মেয়াদোত্তীর্ণ সকল পর্ষদের নির্বাচন দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সকল মেয়াদোত্তীর্ণ পর্ষদের নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নজরে আসেনি বলে জানিয়েছে বিএনপি পন্থী শিক্ষক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। 

বুধবার (১৫ মার্চ) শিক্ষক ফোরামের পক্ষে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত এক আবেদনপত্রে এই কথা বলা হয়। 

আবেদন পত্রে শিক্ষক সমিতিকে উপাচার্যের কাছে ডিন, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন নির্বাচন আয়োজনে উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। 

আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি দীর্ঘদিন বিভিন্ন গণতান্ত্রিক পর্ষদের দায়িত্বে থাকা বর্তমান উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্রহীনতায় বিচলিত হবেন এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন।’

এতে দাবি করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পর্ষদগুলো সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা পর্ষদ, ডিন, অর্থ কমিটি ইত্যাদির মেয়াদ ৫ বছর আগে ২০১৮ সালে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি।' 

আবেদনপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত না করে বিভিন্ন বিভাগ, অফিস ও আবাসিক হলে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি নিয়োগ দেয়ায় ১৯৭৩ এর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।’

আবেদনপত্রের ব্যাপারে অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান বলেন, ‘আশা রাখি কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পর্ষদগুলোর নির্বাচন দিবে। ছাত্র সংসদের মতো শিক্ষকদের গণতান্ত্রিক ধারা যেন হারিয়ে না যায় সে জন্যেই শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে এ দাবি জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।’  

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামীম কায়সার বলেন, ‘বছরের প্রথম সভাতেই শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের নিকট বিভিন্ন পর্ষদে নির্বাচনের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ অবস্থায় আমরা প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ঘোষণার দাবি জানাবো।’

উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমি নিজেও প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব পেয়েছি। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমি সময়মতো নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো। তবে প্রথমদিকে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড গুছিয়ে নেওয়া ও সমাবর্তনের ব্যস্ততার জন্য একটু দেরি হয়েছে। আর ছুটির মধ্যে প্রশাসনিক নির্বাচনের সম্ভব নয়। চেষ্টা করবো দ্রুতই নির্বাচন সম্পন্ন করার।