রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধে মাইকিং
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অভ্যন্তরে বহিরাগতদের অকারণে প্রবেশ ও যত্রতত্র ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ করতে মাইকিং করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সড়ক, হল, চারুকলা এলাকা, মেইনগেট, বিনোদপুর গেট, কাজলা গেটে মাইকিং করতে দেখা গেছে।
এতে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অকারণে প্রবেশ ও যত্রতত্র ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ। সঙ্গত কারণে কারো ক্যাম্পাসে আসার প্রয়োজন হলে প্রবেশ গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের কাছে পরিচয় যাচাই ও ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণ নিশ্চিত করে প্রবেশ করতে হবে।
এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে কোনো বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের চলাচলের ক্ষেত্রেও তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পরিচয়পত্র সাথে রাখার আহ্বান করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এর আগে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভেতর এক রাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জের ধরে সহপাঠীরা বিনোদপুর বাজারে চালক ও হেলপারকে মারধর করেন। বাস থেকে পেটাতে পেটাতে চালককে নামিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধ লেগে যায়। এরপর রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর বাজারের দোকানপাটে আগুন দিলে কয়েকজন ব্যবসায়ীও আহত হন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ইট-পাটকেলে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রবিবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বাদী হয়ে নগরের মতিহার থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় বিনোদপুর এলাকার ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় মো. তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নগরের খোঁজাপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বাসের কাউন্টারের চেইন-মাস্টার; গ্রেপ্তার তসলিম প্রথমে শিক্ষার্থীদের আঘাত করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।