স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

তদন্ত কমিটি বর্ধিত, সাত কর্মদিবসে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ

স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার
স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার  © টিডিসি ফটো

বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথমে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবার সে কমিটিতে দু’জন সদস্য বাড়িয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণ উদঘাটন ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদানের জন্য রাবি কর্তৃপক্ষ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার সার্বিক বিষয় তুলে আনতে আমরা আরো দুইজন সদস্য বাড়িয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
 
কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রশিদ সরকার, সিন্ডিকেট সদস্য মো. শফিকুজ্জামান জোয়ার্দার ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. আরিফুর রহমান।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভেতর এক রাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জের ধরে সহপাঠীরা বিনোদপুর বাজারে চালক ও হেলপারকে মারধর করেন। বাস থেকে পেটাতে পেটাতে চালককে নামিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধ লেগে যায়। এরপর রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর বাজারের দোকানপাটে আগুন দিলে কয়েকজন ব্যবসায়ীও আহত হন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ইট-পাটকেলে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনায় রবিবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বাদী হয়ে নগরের মতিহার থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় বিনোদপুর এলাকার ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় মো. তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নগরের খোঁজাপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বাসের কাউন্টারের চেইন-মাস্টার; গ্রেপ্তার তসলিম প্রথমে শিক্ষার্থীদের আঘাত করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।


সর্বশেষ সংবাদ