রাবি প্রক্টর অপসারণসহ ৬ দাবি আন্দোলনকারীদের
স্থানীয়দের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় ছয় দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় দাবিগুলোকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে আন্দোলনকালে এসব দাবির কথা জানান তারা।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অনতিবিলম্বে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হককে অপসারণ করতে হব; সকল সাধারণ শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আইডি কার্ড ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ করতে হবে; হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও প্রশাসন বাদি হয়ে তাদের মামলা করতে হবে; শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে; আহতদের সকল প্রকার চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে;সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপকারী বিজিবি/পুলিশদেরকে চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সাবাস বাংলাদেশ' চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। ওইসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর দুপুর ২টার দিকে বাসভবনে ফিরেছেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে নানা জায়গায় অবস্থান নেন। দলবদ্ধ হয়ে কেউ কেউ প্যারিস রোডে বসে আছেন। কেউ শহীদুল্লাহ ও মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবনের সামনে আমতলায় অবস্থান নিয়ে বসে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের হাতে এ সময় লাঠিসোঁটাও দেখা গেছে।
গতকাল শনিবার (১১ মার্চ) বগুড়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে বাসের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে চালক ও চালকের সহকারীর সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
দফায় দফায় এ সংঘর্ষে স্থানীয় মানুষের হামলায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর এলাকায় দোকানে ও পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।