‘ডাকসুকে আবার মৃত করে দেয়ায়’ হতাশ ও ক্ষুব্ধ ঢাবি ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব দলমতের সহাবস্থান নিশ্চিত করে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। একইসঙ্গে বিগত ৩ বছর যাবৎ কোনো নির্বাচন না হওয়ায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোট চুরির জাতীয় নির্বাচন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং সাধারণ মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরানোর জন্য দীর্ঘ ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন দেওয়া হয়েছিল। প্রাপ্তির তুলনায় অপ্রাপ্তির ভাগ বেশি থাকলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশাবাদী করে তুলেছিল ডাকসু।
‘‘যদিও ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন ছিল ভোট ডাকাতি ও ভোট কারচুপির ডাকসু। গত ৩ বছর ধরে ডাকসুকে আবার মৃত করে দেয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাও হতাশ ও ক্ষুব্ধ।’’
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়া পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেবে না। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট খ্যাত ডাকসুকে পুনর্জীবিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। কারণ এই প্রশাসন সরাসরি সরকারের লেজুড়বৃত্তিক প্রশাসন, যা একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা হিসেবে আমাদেরকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। আমরা সবসময়ই সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে কাজ করি। আমরা অবশ্যই ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের ডাকসু চাই।
আরও পড়ুন: নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন না হওয়াটা ঢাবি প্রশাসনের ব্যর্থতা: কাদের
সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্ত বুদ্ধি ও গণতন্ত্র চর্চা কেন্দ্র। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের প্রস্তুত করার ক্ষেত্র। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহাবস্থান নেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রদল ও অপরাপর প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদের সভা আহ্বান করতে হবে।
দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদল সবসময় ডাকসু নির্বাচনের পক্ষে, যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের জন্য কাজ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নীতিনির্ধারকদের সামনে তুলে ধরতে পারে এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত ক্যাম্পাসগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার সুযোগ পায়। ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রসহ সামগ্রিক উন্নয়নের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।