৭ দিনের মধ্যে অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানকারীজাবি শিক্ষার্থীদের আগামী সাত দিনের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হল ত্যাগ না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানান। এর আগে গত রোববার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অফিস আদেশে বলা হয়, যে সকল ছাত্র-ছাত্রী স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে হলে অবস্থান করছে তাদেরকে আগামী সাত দিনের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। উক্ত সময়ের মধ্যে হল না ছাড়লে সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাকৃবির সাবেক ছাত্র জিলকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
এদিকে আসন সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ করার জন্য, আরেকটি ছেলেদের আবাসিক হল সংকট এবং অন্যটি মেয়েদের আবাসিক হলের সংকট সমাধানে কাজ করবে বলে জানায় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, আমরা আবাসিক সংকট সমাধানের জন্য কাজ করছি। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকল শিক্ষার্থী আমাদেরকে সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য তা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। নতুন হল হওয়ার পরও যদি আসন সংকট থাকে তাহলে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার।
আরও পড়ুন: ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে লাশ, স্বজনদের আহাজারি-আর্তনাদে ভারি ঢামেক
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বৈধ ও নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করাসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নরুল আলমের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিগুলো হলো- গণরুম-মিনি গণরুম উচ্ছেদ করে সব বৈধ ও নিয়মিত শিক্ষার্থীর সিট, পড়ার টেবিল ও চেয়ার নিশ্চিত করা, অবিলম্বে সবগুলো নতুন হল খুলে দিয়ে কৃত্রিম আবাসন সংকটের অবসান করা এবং হলে আসন বণ্টন ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রশাসনিকভাবে সম্পাদন করা।