০৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:৪১

ছাত্র জীবনে ৭ই মার্চের ভাষণ বাজিয়ে হামলার শিকার হয়েছি: কবি মুহাম্মদ সামাদ

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) কবি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এখন যেভাবে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে এদেশে ভাষণটি নিয়ে আলোচনা এমনকি বাজানোও নিষিদ্ধ ছিলো। এই ভাষণ বাজানোর অপরাধে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে ছাত্রজীবনে আমরাও হামলার শিকার হয়েছি।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও চাকরিতে এখনও পিছিয়ে নারীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন। 

উপ উপাচার্য কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র সংগ্রামী জীবনের ইতিহাসই আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে সর্বজনীন রূপ দেয়া এবং বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, পশ্চিমপাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী শুরুতেই ভাষার উপর আঘাত হানে। যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ভাষা আন্দোলন এবং ধাপে ধাপে ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ। ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র, নিস্তরঙ্গ কৃষি সমাজকে বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র সমাজে পরিণত করেন যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ভাষণের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, অলিখিত এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালির দুঃখ-দুর্দশার আবেগ প্রকাশের পাশাপাশি কিছু বিষয় সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। একদিকে তিনি সতর্ক থেকেছেন যাতে বিশ্বসম্প্রদায় স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করতে না পারে আবার পরোক্ষভাবে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এই ভাষণের মাধ্যমেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।