৬ দিনেও কার্যকর হয়নি কৃষ্ণকে মারধরকারীদের ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে ‘শিবির’ তকমা দিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক মো. সোলাইমানকে স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ করেছিলেন তদন্ত কমিটি। কিন্তু তদন্ত কমিটির সুপারিশপত্র জমা দেওয়ার ৬দিনেও কার্যকর হয়নি এ সুপারিশ।
এর আগে, নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩ দিন। কিন্তু সকল তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে তদন্ত জমা পড়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ তদন্ত কমিটি গঠনের ১৩ দিন পরে।
পরে ওই দিন বিকালে হল প্রাধ্যক্ষ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি মিটিংয়ে বসে। সেই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ করা হয় শৃঙ্খলা কমিটির কাছে। কিন্তু সুপারিশের ৬দিন পেরোলেও এখনো পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটির কোনো সভাই অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা এখনো শাস্তির ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা গত মাসের ২৮ তারিখে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ জমা দেই শৃঙ্খলা কমিটির কাছে। তারপর এ কমিটির আপডেট সম্পর্কে আমি অবগত নই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, উপাচার্য সময় দিতে না পারায় এখন পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটি মিটিং হয়নি। ফলে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে আশা রাখছি দ্রুতই শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হবে ও অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা যাবে।