চবিতে ‘চীনের উত্থান-পতন বিতর্ক’ শীর্ষক সেমিনার
বিশ্ব রাজনীতিতে এশিয়ার দেশ চীন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। দেশটির অর্থনীতিকে পরিবর্তন করতে নেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি। যা অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হলেও বর্তমানে দেশটি নিয়ে পণ্ডিতদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। দেশটিতে কমিউনিস্ট শাসন চলমান রয়েছে যা পশ্চিমা বিশ্বের সাথে আদর্শগত মিলে না। তবুও চলমান রয়েছে উন্মুক্ত ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা দেশটির অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে দেশটির পতনের সম্ভাবনা দেখছেন। যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ ও চবি সেন্টার ফর এশিয়ান স্টাডিজের যৌথ আয়োজিত একটি সেমিনারে আলোচনা করেন জার্মান প্রফেসর ড. আনজা শেনজ্।
রবিবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণিকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি নিতে এসে ‘ডাকাতির’ শিকার ভর্তিচ্ছুরা
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী'র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. আনজা ডি. শেনজ্, ড. ডেইটার রেইনহার্ড এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. স্বপন আদনান। এছাড়াও এতে অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ্ দৌলাহ এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবির। এছাড়াও রাজনীতি বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
জার্মান প্রফেসর ড. শেনজ্ সেমিনারের মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন। তিনি চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর আলোকপাত করে বলেন, 'চীনের উত্থান ও পতন নিয়ে স্কলারদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।' তার মতে চীনের উত্থানে নগরায়ন এবং ম্যাকানাইজেশনের ভূমিকা রাখে। যা চীনের অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছে। এছাড়াও তিনি ১৯৭৮ এর সংস্কার এবং ওপেনিং পলিসির কথা বলেন যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসে।
সেমিনারে চীনের উত্থানের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেখাতে গিয়ে ড. শেনজ্ কিছু পশ্চিমা তত্ত্ব তুলে ধরেন। তিনি চীনের উন্নয়ন মডেলের গঠনমূলক সমালোচনা করেন। যেখানে সামাজিক অসাম্য, জন নিরাপত্তাহীনতা এবং পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।
জার্মান এই প্রফেসর চীনের কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। যেমন তাইওয়ান সমস্যা, মানবাধিকার বিপর্যয়, দক্ষিণ চীন সাগর বিবাদ ইত্যাদি তুলে নিয়ে আসেন। এছাড়াও তাঁর মতে, দেশটিতে কমিউনিস্ট শাসনের চূড়ান্ত সময় চলছে। যা মহামারী পরবর্তী সময়ে দেশটির অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে।