জুনিয়রকে নির্যাতন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি, বিচার চান রাবি শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী এক জুনিয়রকে শারীরিক নির্যাতন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকির ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এ মানববন্ধন করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন মামুন বলেন, এখানে আমরা উপস্থিত হয়েছি আমার বন্ধুদের ওপর শারীরিক ও মানসিক এবং সেক্সুয়ালি হেনস্তার প্রতিবাদে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমরা কখনো মেনে নিতে পারি না। এ ঘটনার বিষয়ে কোনো ভাবেই আমরা সমঝোতায় যেতে রাজি না। এমন ঘটনা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আর না ঘটে, তার জন্য সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী উৎপল হাসান বলেন, শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কুষ্টিয়াসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই অবস্থা। র্যাগিংয়ের নামে আমার বোনদের মানসিক,শারীরিক ও সেক্সুয়ালি হেনস্তা করা হচ্ছে। জুনিয়ররা কেন সিনিয়রদের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকবে? আমরা দেখি দোষ করেও অভিযুক্তরা সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। আমরা এসব র্যাগিং চাই না। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। যেন এমন ঘটনা ঘটাতে কোনো সিনিয়র সাহস না পায়।
পঞ্চম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, এমন দুঃখজনক ঘটনা আর কত দেখবো আমরা? এসব ঘটনা ধামাচাপা নয়, এখন চাই শাস্তি। এখনো পর্যন্ত দোষীদের কোনো শাস্তি হলো না। তাহলে কি এভাবেই দোষ করে দোষীরা বুক ফুলিয়ে বেড়াবে? প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই যাতে অতি দ্রুত দোষীদের শাস্তি হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে গালিগালাজ, শারীরিক নির্যাতন ও বন্ধুদের দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের তিন নেতা-নেত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন মন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিফা হক শেফা ও তাজনোভা থিমী, সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানসহ বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, শাহবাজ আহমেদ তন্ময় ও আকাশ মাহবুব।