নির্মাণাধীন ভবনের ইট খসে রাবি শিক্ষার্থী আহত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন ভবনের ইট খসে মাথায় পড়ায় এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩০ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. সাদ। তিনি ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী নগরীর মোন্নাফের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর বন্ধুদের থেকে জানা যায়, গতকাল দুপুরে মোন্নাফের মোড়ে নতুন নির্মাণাধীন ভবনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ ভবনের ৪ তলা থেকে কতগুলো ইট তার মাথায় পড়ে। মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেকে ভর্তি করানো হয়। তার মাথায় ৮টা সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার হাতের হাড় ভেঙে গেছে। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
সাদের সহপাঠী হাসিব বলেন, 'এখন পর্যন্ত মেস মালিকের কোনো খবর নাই। আজকে আমার ভাইয়ের মৃত্যুও হয়ে যেতে পারতো। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে ভাই এখনও বেঁচে আছে। কিন্তু এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। হয়তো এভাবে কারো মৃত্যুও হতে পারে। এসব মেস মালিক তাদের মেসের কাজের সময় কেন কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না? এসব মেস মালিকদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। আমরা যে ক্ষতিপূরণ চেয়েছি সেটি না দিলে আমরা মামলা করবো'।
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. মির্জা আ.ফ.ম. রশিদুল হাসান বলেন, ঘটনা শোনার পর আমি ও তিনজন শিক্ষক হাসপাতালে যাই। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার পরিবার থেকে তার বাবা এসেছেন। পরে থানায় গেলে সেখানে মেস মালিক মোস্তাফিজুর রহমানও আসেন। তিনি চিকিৎসা খরচ বহন করতে রাজি হওয়ায় আমরা সমঝোতায় আসি'।
আরও পড়ুন: ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ ঢাবি ছাত্রের, মধ্যরাতে শিক্ষকের বিচার দাবি ছাত্রলীগের
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, তারা দুই পক্ষ থানায় এসেছিলেন। তাদের সাথে কথা বলে একটা সমাধান করা হয়েছে। চিকিৎসা বাবদ যত টাকা লাগবে তার ব্যয় বহন করবে নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান।