কৃষ্ণকে শিবির সন্দেহে নির্যাতন করে বহিষ্কার হচ্ছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে নির্যাতনের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হল প্রাধ্যক্ষের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, কৃষ্ণকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর হাতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা হলে একটি সভা করবেন।
আরো পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে শিবির বলে নির্যাতন, প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
এর আগে, ১৪ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিরুদ্ধে শিবির তকমা দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়। প্রক্টর দপ্তরে দেয়া অভিযোগপত্রে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অনশনে বসেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে ওইদিনই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে হলেন তিন আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। এতে ড. অনুপম হীরা মণ্ডলকে আহ্বায়ক ও ড. তানজিল ভূঞা ও ড. রায়হান গফুরকে সদস্য করা হয়। এছাড়া, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় শাখা ছাত্রলীগ।