২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ‘পাখি মেলা’

রাবিতে পাখি মেলা উৎসব   © টিডিসি ফটো

পাখি সংরক্ষণে শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করতে ‘পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য, আনন্দের সংঙ্গী, এদের বাঁচতে দিন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে পাখি মেলার আয়োজন। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ড কনজারভেশন ক্লাবের আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

উদ্বোধন পরে মেলার সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর, রবীন্দ্র ভবন, প্যারিস রোড, প্রশাসন ভবনসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেলায় গিয়ে মিলিত হন তারা।

এবারে পাখি মেলায় বিভিন্ন ধরনের পাখি প্রদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পাখিদের আবাসস্থলগুলো প্রদর্শন, বাইনোকুলার দিয়ে পাখি পর্যবেক্ষণ, আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে পাখিদের জীবনযাত্রা প্রদর্শনী, চারুকলা শিক্ষার্থীদের ছাপচিত্রের মাধ্যমে আকাঁ পাখি প্রদর্শনী, ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পাখির বিভিন্ন ভিডিও চিত্র তুলে ধরা, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি অঙ্কন  প্রতিযোগিতা, উন্মুক্ত পাখিবিষয়ক কুইজের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে পুলিশের তল্লাশি

পাখি মেলায় বাবার সাথে মেলায় ঘুরতে আসেন শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ক্ষুদে শিক্ষার্থী ফাতিহা নওশীন। এই ক্ষুদে শিক্ষার্থী বলেন, এখানে এসে খুবই ভাল লাগছে। নতুন নতুন অনেক পাখি দেখেছি যা আগে কখনও দেখিনি। এমন আয়োজন সবসময় চান ফাতিহা নওশীন। 

মেলার দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান তাসিব বলেন, আমাদের এ মেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে পাখি সংরক্ষণে সচেতন করা। পাখিদের আবাসস্থলকে সংরক্ষিত রেখে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা। এছাড়াও বিভিন্ন পাখি আমরা এখানে তুলে ধরেছি যা অনেক শিক্ষার্থী হয়তো আগে দেখেনি। পাখিদের জীবনযাত্রা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরাই মূলত আমাদের এ মেলার উদ্দেশ্য। 

মেলার আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুজ্জান এম. সালেহ রেজা বলেন, বাংলাদেশে এমন অনেক পাখি আছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এসব পাখি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরা, তাদের প্রতি মমত্ববোধ তৈরি করা এবং পাখি সংরক্ষণে তাদেরকে সচেতন করতেই আমাদের এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর শীতের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় হৃদগুলোতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নারকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে প্রচুর পরিযায়ী পাখির সমাগম ঘটে। এগুলো সংরক্ষণে শিক্ষার্থীদের আরও সচেতন হতে হবে। পরিযায়ী পাখি দেখে যদি কোনো শিক্ষার্থী ঢিল ছুড়ে ও বিরক্ত করে তাহলে এসব পাখিগুলো আতঙ্কিত হয়ে হৃদ ছেড়ে অন্য জায়গায় অবস্থান করবে। পাখিসহ বন্যপ্রাণীরা যে যেই অবস্থায় আছে তাদের সাথে বিরূপ আচরণ করা যাবে না। তাহলেই পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।