ঢাবি ক্যাম্পাসকে গুলিস্তানের সঙ্গে তুলনা ভিসির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ফুটপাত দখল এবং ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) তে যত্রতত্র গড়ে ওঠা বিভিন্ন সামগ্রীর ভ্রাম্যমাণ দোকান ও অবৈধ গাড়ি পার্কিং অবস্থাকে গুলিস্তানের মোড়ের সাথে তুলনা করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে টিএসসিতে যেভাবে দোকান বসেছিল তা আসলেই কোন অংশে গুলিস্তানের চেয়ে কম ছিল না।
উপাচার্য বলেন, যেদিকে দেখি খালি দোকান আর মানুষ। খায় আর হাঁটে। হাজার হাজার মানুষ, হাজার হাজার দোকান। গুলিস্তানের চেহারাকেও ছাড়ায়ে যাচ্ছিল। আমি কার্জন থেকে আমার বাসভবন পর্যন্ত হেঁটে আসছি, আবার ভবন থেকে টিএসসি পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছি। খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি। একদম, একদম না! এভাবে হতে পারে না।
উপাচার্য আরও বলেন, আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নিতেছি, এভাবে বরদাশত করব না। এতে সামগ্রিকভাবে আমাদের বড় আকারে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে যাবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি দুয়েকদিনের মধ্যে অ্যাকশন শুরু করে দেব।
আরও পড়ুন: ছেলেকে নিয়ে কুমার বিশ্বজিতের আবেগঘন স্ট্যাটাস।
জানা গেছে, মঙ্গলবার শহীদ দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পূর্বের দোকানগুলো ছাড়াই শুধুমাত্র ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মঙ্গলবার রাস্তায় বসে ৩৮৬টি দোকান। এছাড়া বইমেলার প্রবেশ গেটসহ প্রবেশমুখেই বসেছে দোকান। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রতিদিন দোকানগুলো তুলে দেওয়া হচ্ছে, তারপরও তারা বসছে। সামান্যতম অনুরোধও তারা রাখছে না। একশ্রেণির মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে এ কাজগুলো করে যাচ্ছে।
অপরদিকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। টিএসসির পাশেই অবস্থিত রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী ফাতেহা জাহান অ্যানি বলেন, এত আওয়াজ আর দোকান যে, চলার মতো অবস্থা নেই। গাড়ির কারণে রাস্তা পার হতে পারি না। বহিরাগত মানুষের জন্য রাস্তায় হাঁটা মুশকিল।