জাবিতে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতীকী মশালযাত্রা
ভাষা শহীদদের স্মরনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শ কেন্দ্র ও কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের যৌথ আয়োজনে প্রতীকী মশালযাত্রা পালিত হয়েছে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ মশালযাত্রা শুরু করা হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ভাষা সংগ্রাম বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’র ফাদার মিল্টন ডি কস্টা বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলে পূর্ব পাকিস্তানের ৪ কোটি ৪০ লক্ষ জনগন পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। তখন থেকেই পাকিস্তান সরকার ভাষার ক্ষেত্রে আধিপত্য চালায়। করাচিতে জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং উর্দু যেন সব স্কুল-কলেজের শিক্ষার মাধ্যম হয় সেই প্রচেষ্টা চালানো হয়। এর প্রতিবাদে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই অন্দোলন একদিনে গড়ে ওঠেনি। এর পেছনে রয়েছে বঞ্চনার সুদীর্ঘ ইতিহাস। আর এই বঞ্চনার ইতিহাস থেকেই অর্জিত হয়েছে আজকের বাংলা ভাষা।
আরও পড়ুন: ইবিতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন
এসময় ছাত্রকল্যান ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা ফাহলিজা বলেন, আমাদের বরাবরই পশ্চিম বাংলার সাথে ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়, আমরা বাঙ্গালী। ভাষার জন্য আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এজন্য আমরা বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ।