ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূত উৎসব
সুদূর আমেরিকা থেকে এসেছে এক ভূত, এরপর আরব আমিরাত থেকে অ্যারাবিয়ান ভূত, তারপর একে একে রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কাসহ বহু দেশের ভূত এই ফ্যাশন শোতে উপস্থিত হয়ে গেল। এরপর সব ভূত মিলে গানের তালে নাচতে শুরু করল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভূতের রাজা-রাণী তাদের ছোট-বড় ডজন খানেক সন্তান-সন্ততি নিয়ে উপস্থিত হয়ে মানুষের সঙ্গে চালাতে লাগলো রম্য কথোপকথন।
সবশেষে, সব ভূত মিলে ডিজে গানের তালে নেচে মঞ্চসহ পুরো এলাকা জমিয়ে তুলল। এভাবে নাচ, গান, ফ্যাশন শো, রঙ্গরস ও নাটিকার সমন্বয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভূত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্যার এ এফ রহমান হলের শাহনেওয়াজ ভবনে চারুকলা অনুষদের ছাত্রছাত্রীরা এই ভূত উৎসবে অংশ নেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসের বিরুদ্ধে আনন্দ ও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবছরই আয়োজিত হয়ে আসছে এই উৎসব।
এবারের ভূত উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন হেলাল শাহ, সোহাগ, তাহমিদ তাজওয়ার নিলয়, আকবর, সুজন, ইমরান, ইশতিয়াক, দীপ্ত, সাঈদ, রাকিন, ধ্রুব, ঋদ্ধ, ফেরদৌস, জাদিদ, আশেক, জিওন, সৈকত, দুর্জয়, আমান, হুমায়ুন, করিম, রনি, জামাল, কামাল, শিমুল, সজল, হৃদয়, রাহাত ভূঁইয়া, কায়কোবাদ, সৈকত, সাকিব, ইমরান, হিরা, মিন্টু, শাহরিন, শাহনেওয়াজ, মো. রনি, মঞ্জু, লিওন, তাওহিদ, সুমিত, রনি সরকার, বিধান, জাহিদ, পলক, অন্তর, সোহাগ, জায়েফ, শামীম, ফরহাদ প্রমুখ।
এবারের উৎসব সম্পর্কে চারুকলা এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৯৮ সালে এক ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে হরতাল হওয়ার প্রতিবাদে কিছু একটা করার চিন্তা থেকে ভূত উৎসবের কথা মাথায় আসে। প্রথমে মোর্শেদ ভাই, মাসুম ভাই, সৈকত ভাইয়েরা এই উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছিল। এখন এটা চারুকলা অনুষদের সবার উৎসব।
তিনি আরও বলেন, শাহনেওয়াজ ভবনে মাত্র ১৮টি কক্ষ। শিল্পীদের জন্য এত কম কক্ষ হওয়ায় আমরা অনেকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। ভালো সুযোগ-সুবিধা নেই। এখানে কোনো মানুষ থাকতে পারে না। একমাত্র ভূতেরাই পারে। একটি পূর্ণাঙ্গ হল আমাদের প্রয়োজন। তাই ভূত উৎসবটি সেই প্রতিবাদের ভাষা। সেই সঙ্গে আনন্দের দিকও রয়েছে। ভালোবাসা দিবসে যাদের ভালোবাসা নেই, তারাও ভূত সেজে মূকাভিনয় করবেন।