১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৪

'আমরা সিঙ্গেল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’

রাবিতে প্রেমবঞ্চিত সংঘের বিক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

‘কেউ পাবে কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না’ স্লোগানে ভালোবাসা দিবসে একাধিক প্রেমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘প্রেমবঞ্চিত সংঘ’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা।

মঙ্গলবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমচত্বর থেকে ‘প্রেমবঞ্চিত সংঘ’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন মার্কেটের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এতে অংশ নেন সংগঠনের শতাধিক সদস্য। এসময় 'কেউ পাবে না কেউ পাবে না, তা হবে না, তা হবে না', ‘তুমি কে, আমি কে বঞ্চিত, বঞ্চিত’, 'আমরা সিঙ্গেল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘নষ্ট প্রেমের খেতাতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, 'একটা একটা কাপল ধর, ধইরা ধইরা সিঙ্গেল কর' স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা।

বিক্ষোভের শুরুতে সংগঠনটির সভাপতি ইহতেশামুল হক ইবনুর বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ আমরা আমাদের এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। একটাই কারণ, আমাদের মাঝে প্রেম ও ভালোবাসার অভাব। অবশ্যই আমরা প্রেমের বিরুদ্ধে না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে যারা একাধিক প্রেম করে। পবিত্র প্রেমের নামে এ শ্লীলতাহানি আমরা চাই না। আমরা চাই সমতা।

তিনি আরও বলেন, প্রেম বলতে একটা ছেলে শুধু একটা মেয়ের সাথে প্রেম করবে তা বুঝায় না, প্রেম সমাজের  সকল শ্রেণির মানুষের সাথে করা যায়। সে দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা এবার গরিব দুঃখী মানুষদেরকে বস্ত্র সহায়তা দিবো পাশাপাশি বৃক্ষ রোপন করব। সমাজের মানুষকে দেখিয়ে দেব, কীভাবে ভালোবাসা মানুষের কল্যানে আসে। শুধু বেহায়াপনাই ভালোবাসা হতে পারে না। 

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আসানাবিল আবীর বলেন, বর্তমানে শুধু ১৪ ফেব্রুয়ারিকেই ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু এটা একধরনের ভণ্ডামি। আমরা চাই বছরের ৩৬৫ দিনই ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হোক। আমরা ভালোবাসা দিবসের নষ্টামি, ভণ্ডামি ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে হলেও ভালোবাসা দিবসের বিরুদ্ধে না। আমরা চাই সবার জীবনে প্রেম আসুক। অচিরেই এই সংগঠনের সদস্যদের মাঝে প্রেম আসুক এবং সংগঠনের কার্যক্রম বিলুপ্ত হোক- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এর আগে প্রেম বঞ্চিত সংঘের কমিটি গঠন করা হয়। এতে ভুগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইহতেশামুল হক ইবনুরকে সভাপতি ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আসানাবিল আবীরকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।