ক্যাম্পাসেই নারী শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ চবি প্রশাসন
মারজান শুধু একজন সংবাদ কর্মীই নন, একইসঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসেই একজন নারী শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হওয়ায় বিচারের দাবিতে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিবৃতি দিয়েছেন চবিসাসের (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি) সাবেক নেতৃবৃন্দ।
চবিসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাসনীম হাসান সাক্ষরিত এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নারী সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনা পাঁচদিন গত হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থায় নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা দুর্বৃত্তদের প্রতি প্রশাসনের নীরব প্রশ্রয়ের ইঙ্গিত দেয়।
সংবাদকর্মী মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ছাত্রলীগ নামধারী দুর্বৃত্তদের হেনস্তার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক নেতৃবৃন্দ৷
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে একজন নারী সাংবাদিককে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু দুর্বৃত্ত ঘিরে ধরে হেনস্তা করেছে। ব্যাগ নিয়ে টানা-হেঁচড়া করেছে। কটূক্তি ও হুমকি দিয়েছে। যা নজিরবিহীন। এ ঘটনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টার পাশাপাশি আগামী দিনের স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের জন্য হুমকি।
আরও পড়ুন: শাবির ৯ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন
বিবৃতিদাতারা হলেন-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হামিদ উল্লাহ, মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, খলিলুর রহমান, রুবেল খান, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, এহসান জুয়েল, আল-আমীন দেওয়ান, ইলিয়াছ সরকার, ওমর ফারুক, সুজন ঘোষ, হেদায়েত উল্লাহ খন্দকার পলাশ, হুমায়ুন মাসুদ, ফারুক আবদুল্লাহ, আবু বকর ছিদ্দিক রাহাত, আশহাবুর রহমান শোয়েব, সৈয়দ বাইজিদ ইমন, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, ইমরান হোসাইন ও সাইফুল ইসলাম।
সাবেক সাধারণ সম্পাদকরা হলেন-মজুমদার নাজিম উদ্দিন, আবদুস সবুর, রিয়াজ রায়হান, মো. এমদাদুল হক, মাহবুব মিলন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশরাফ রেজা, তাসনীম হাসান, মন্ডল মোহাম্মদ আরিফ, মো. মাহমুদুর হাসান, জোবায়ের চৌধুরী, মনোয়ার রিয়াজ মুন্না ও রায়হান উদ্দিন।