০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:০২

ঢাবির হলে ছাত্রলীগ নেতার সিট পাওয়া নিয়ে তুলকালাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলে প্রধান ভবন বা পুরোনো ভবনে জ্যেষ্ঠ হয়েও আসন পাননি হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে মারামারিতে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। হলের তিনটি ভবনের মধ্যে পুরোনোটিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা থাকেন। এটি ‘সম্মানের’ মনে করেন শিক্ষার্থীরা। 

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর চার নেতাকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন পক্ষ তৈরি হয়েছে। শহীদুল্লাহ্ হল শাখার সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম আগে সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদের অনুসারী ছিলেন। নতুন কমিটি হওয়ায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হন। তিনি ও তাঁর সহপাঠীরা জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী।

জাহিদুলের সহপাঠীরা হলের পুরোনো ভবনে আসন পেলেও তাকে দেওয়া হয়নি। সেখানে আসন দিতে সম্প্রতি তানভীর হাসান শাখার সভাপতি জাহিদুলকে অনুরোধ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার সঙ্গে কথা বলতে যান। পরে সভাপতির সামনে অনুসারীরা সহসভাপতির ওপর হামলা করেন। জাহিদুলের ওপর হামলার খবর পেয়ে হলে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান।

দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে হামলাকারী হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুশতাক শাহরিয়ার সজীবকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। তবে মুশতাক হল ছাড়েননি। পরে শুক্রবার রাতে তানভীরের অনুসারীরা মুশতাকের কক্ষ দখল করতে যান। এ সময় তার জিনিসপত্র বের করে দিয়ে অন্য দুজনকে ওঠান।

এ নিয়ে রাত ১২টার পর জাহিদুলের অনুসারী হলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক মারুফ আল মুকিত তানভীরের অনুসারী শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক খায়রুল বাশারকে মারেন। এ নিয়ে মারামারিতে কয়েজনজন আহত হন। 

সহসভাপতি জাহিদুল বলেন, আসন দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে সভাপতি গালিগালাজ করেন। তার অনুসারীদের বলেন আমি দুর্ব্যবহার করেছি। কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার অনুসারীরা হামলা করেন। তবে বিষয়টিকে ভুল–বোঝাবুঝি উল্লেখ করে সভাপতি জাহিদুল বলেন, সিটের সমস্যা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি জানেন, তারা সমাধান করবেন।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কোনো অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি জেনেছেন উল্লেখ করে শহীদুল্লাহ্ হলের প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন বলেন, আবাসিক শিক্ষকেরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।