ঢাবিতে কাওয়ালির আয়োজকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’র উদ্যোগে কাওয়ালির আয়োজনে আসার সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করছেন সিলসিলা ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর রহমান। এ ঘটনায় আহত লুৎফুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে লুৎফরের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে টিএসসির ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনার পর সিলসিলা ব্যান্ডের পেজ থেকে লাইভে আসেন ভুক্তভোগী লুৎফুর রহমান। লাইভে তিনি বলেন, আমি আমার আইডি থেকে পোস্ট করেছিলাম আমরা সিলসিলার পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে কাওয়ালির আয়োজন করব। আমি টিএসসি আসার সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীরা আমাকে ঘিরে রাখে। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে আমি সরে বইমেলার দিকে আসি। কিন্তু টিএসসির ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে তারা আমার পথরোধ করে।
তিনি আরও অভিযোগ জানান, পুলিশের সামনে আমাকে মারা হয়েছে। আমার হাঁটু ছিলে গেছে, বুকে বাজেভাবে আঘাত করেছে। আমি দাঁড়াতে পারছি না।
আরও পড়ুন: রাবি প্রশাসনের ব্যানার-সাইনবোর্ড-বিলবোর্ডে ভুলের ছড়াছড়ি
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় টিএসসিতে কাওয়ালির আয়োজন করবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আমি ও ঢোলবাদক মো. রাফি আগেই টিএসসি যাই। এ সময় দেখতে পাই তানভীর হাসান সৈকত তার অনুসারীদের আমাদের দিকে ইশারা করে। হামলার আঁচ পেয়ে আমরা সরে গেলেও লুৎফর রহমান ভাই পরে আসায় তিনি বুঝতে পারেননি। এরপর তিনি টিএসসি এসে পৌঁছালে সৈকতের অনুসারীরা তার ওপর হামলা করে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত সকল অভিযোগ নাকোচ করে দিয়ে বলেন, এটা পুরোপুরি বানোয়াট ঘটনা। মিডিয়া কাভারেজের জন্যই তারা এসব অভিযোগ করছে। ছাত্রলীগ কেন তাদের মারতে যাবে। এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি প্রক্টরিয়াল বডিকে খোঁজ নিয়ে আমাদের জানাতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।