রাবির বঙ্গবন্ধু হলের সামনে নিষিদ্ধ পপি ফুল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে দেখা মিলেছে নিষিদ্ধ পপি ফুল। এসব গাছে লাল ও সাদা রঙের ফুলও এসেছে। তবে মালিরা বলছেন, তাদের অগোচরেই বেড়ে উঠেছে এসব গাছ। পপি ফুলকে আফিম ফুলও বলা হয়। কারণ এ ফুল থেকেই তৈরি হয় ‘আফিম’। পপি ফুল দুই প্রজাতির। এক প্রজাতির ফুলের রস থেকে আফিম তৈরি হয়, অন্য প্রজাতি থেকে হয় না। কিন্তু দেশে সব ধরনের পপির চাষ নিষিদ্ধ।
এর আগে, রাবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যেতো এ নিষিদ্ধ পপি ফুলের গাছ। তবে গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চোখে পড়লে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে এ গাছ। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে এ ফুল আর দেখা যায়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মূল ফটকের সামনের ফুল বাগানে ও হলের ভেতরের বাগানে ১৫-১৬টি নিষিদ্ধ পপি ফুলের গাছ রয়েছে। বাগানের অন্যান্য ফুল গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছে এ গাছ। বেশিরভাগ গাছেই ফুটেছে লাল ও সাদা রঙের ফুল। কিছু গাছে ফল ধরতেও দেখা গেছে।
হলগুলোতে দায়িত্বরত মালিরা বলছেন, অনেক আগে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে পপি গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো তুলে ফেলা দেয়া হয়েছে। হয়তো গাছ থেকে বীজ পড়ে বর্তমানে গাছগুলো জন্ম নিয়েছে। আমরা নতুন করে কোনো গাছ লাগানো হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হলের শেখ মুজিবুর রহমান হলের মালি ভাসমত বলেন, বাগানে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ রয়েছে। এ বছরও আমরা নতুন নতুন অনেক ফুল গাছ লাগিয়েছি। কিন্তু পপি গাছ লাগাইনি। এ সব গাছ অনেক আগে লাগানো হলেও প্রশাসনের নির্দেশে সেগুলো তুলে ফেলা হয়েছিল। এখানে কিভাবে তা ফুটে উঠেছে, আমরা জানি না। তবে নির্দেশনা পেলে পপি ফুল তুলে ফেলবো বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ বলেন, পপি ফুল গাছ আমার হলে জন্মেছে বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। হলে কর্তব্যরত মালির সঙ্গে কথা বলে দেখছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে সব ধরনের ‘পপি’ গাছ লাগানো নিষিদ্ধ। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বাগানে লাগানোও বৈধ নয়। তাই নিষিদ্ধ এ পপি গাছ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি এখনি বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে তা তুলে ফেলবেন বলে জানান তিনি।