ফারদিন ইস্যুতে কথা বলতে এবার বুয়েট শিক্ষার্থীরা র্যাব সদর দপ্তরে
র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দাবি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে, তার প্রমাণ দেখতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় সংস্থাটির কার্যালয়ে গেছেন একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা র্যাবের ছায়া তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে সদরদপ্তরে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: ফারদিনের ঘটনায় র্যাব-ডিবির ওপর আস্থা রাখুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে তারা সাংবাদিকদের জানান, ফারদিনের উদ্ধার আলামতগুলো দেখে মনে হয়েছে, প্রায় সবকিছু ঠিক আছে। তবে কিছু জায়গায় গ্যাপ রয়েছে বলে মনে হয়েছে। প্রাইমারি গ্যাপ হলো যে, তাকে যে ব্রিজে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্রিজে কীভাবে গেলো? কার সঙ্গে গেলো?
শিক্ষার্থীরা জানান, আলামতগুলো তাদের দেখানো হয়েছে। এগুলো তাদের কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। তারাও পয়েন্টগুলো ডিবিকে জানিয়েছেন। ডিবি শিক্ষার্থীদের পয়েন্টগুলো নিয়েও কাজ করবে।
তারা বলেন, ‘লেগুনাচালক নাকি বলেছেন- ফারদিনের সঙ্গে আরেকজন ছিলেন। তাহলে আরেকজন কে ছিলেন? এ বিষয়টি ক্লিয়ার না। এছাড়া বাকি প্রমাণাদি মোটামুটি ডিবি কংক্রিট দেখিয়েছে। ডিবির কাজের ধরন দেখে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট।’
আত্মহত্যার বিষয়টি আপনারা ক্লিয়ার হয়েছেন কি না, জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আত্মহত্যার বিষয়টি তারা সেভাবে ইনফরমেশন দেখাননি। ভবিষ্যতে এ জায়গাতে (আত্মহত্যা) ডিবির কাজ করতে পারে। ডিবিও বলেছে, তারা আত্মহত্যার মোটিভ নিয়ে কাজ করবে।’