রাবিতে হাল্ট প্রাইজের ৬ষ্ঠ আসর শুরু কাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীদের নোবেল খ্যাত হাল্ট প্রাইজের ৬ষ্ঠ আসর শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাল্ট প্রাইজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক আয়েশা আক্তার। তিনি জানান, "রাবিতে অধ্যয়নরত যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী ৩ থেকে ৫ জনের দল তৈরি করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। রাবি ক্যাম্পাসে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সেরা ৩০ টি দল সেমিফাইনাল রাউন্ডে যাবে। সেখান থেকে ৬টি দল ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মনোনীত হবে। পরে সেখান থেকে ৩টি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। ক্যাম্পাসের বিজয়ীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। আর ক্যাম্পাস রাউন্ডে বিজয়ী দল জাতীয় এবং গ্লোবাল সামিটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।"
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে ২ সেমিস্টার চালুর সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীতের শঙ্কা
এসময় উদ্বোধনী বক্তব্যে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জহুরুল আনিস বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক কাজ জ্ঞান বিতরণ এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি। হাল্ট প্রাইজের এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে অবদান রাখবে।"
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বর্ষের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবে। আর মোট ৪ ধাপে তাদের যেতে হবে ফাইনালে। ধাপগুলো হচ্ছে টিম গঠন, আইডিয়ার সারসংক্ষেপ জমা দেয়া, এলিভেটর পিচ বা সারমর্ম জমা দেয়া এবং সবশেষে চূড়ান্ত উপস্থাপনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সম্পর্কিত নির্ধারিত চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে বিজনেস আইডিয়া উপস্থাপন করবেন। সেখানে খাদ্য নিরাপত্তা, পানি, শক্তি, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস, রিজিওনাল সামিট পার হয়ে গ্লোবাল সামিটে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হতে পারলে বিজয়ী দল তাদের আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্য পাবে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় উদ্যোগ প্রতিযোগিতা, যা প্রতি বছর বিশ্বের ১২০-এর অধিক দেশের ২০০০-এর অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়ে থাকে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘ ও বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিযোগিতাটি হয়ে আসছে যা মূলত বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাকে একটি টেকসই ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করে।