ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর ছাত্রলীগের শোডাউন
রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সংঘর্ষের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এদিন সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিতে শুরু করেন তারা। নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুক্ষণ পর পর মিছিল বের করতে দেখা গেছে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাদের নেতৃত্বে এ শোডাউনে বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। কার্জন হল, দোয়েল চত্বর, টিএসসি, পলাশী মোড়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা ও নীলক্ষেত পয়েন্টসহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এসময় তাদের অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা গেছে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সকাল ৭টা থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছাত্রলীগের পদপ্রার্থী নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে এসব শোডাউন, মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে গুলি করা ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
এ সময় ঢাবির হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্পট ও তার আশেপাশের এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন। এর মধ্যে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নেন ঢাবির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পলাশী গোল চত্বরের পাশে অবস্থান নেয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগ।
আর শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেন জসীম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেয় ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল ছাত্রলীগ, ফজলুল হক হল ছাত্রলীগ, অমর একুশে হল ছাত্রলীগ, নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগ। নীলক্ষেত মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেয় এফ রহমান হল ছাত্রলীগ।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় পদপ্রত্যাশী নেতারা হাইকোর্ট মোড়, ধানমন্ডি পার্টি অফিস, ঢাকা মেডিক্যাল মোড়ে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে মহড়া দেন। ছাত্রলীগ নেতারা জানান, ক্যাম্পাসে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইতে তার সমুচিত জবাব দেবে ছাত্রলীগ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ সোহাগ বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাবি ক্যাম্পাসে এসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। অতীতেও আমরা তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখেছি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে ছাত্রলীগ প্রস্তুত আছে।