এবার প্রশাসনের সঙ্গে অনশনরত রাবি শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিতে এসে কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রশাসনের এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যায় রবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে আসেন এবং কাল সকালে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত সমাধান করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। এদিকে আজকের মধ্যেই সমাধান না হলে অনশন ভাঙ্গবেন না বলে শিক্ষার্থীরা জানান। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েন। এসময় উপ-উপাচার্যের পেছনে থাকা প্রশাসনের অন্যান্য শিক্ষকরা তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় এ অবস্থা দেখে অনশনরত মেয়ে শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং একজন মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নেওয়া হয়।
উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগে ছিলো একটা ডিপার্টমেন্ট এখন পুরো ডিপার্টমেন্ট আমরা অবস্থান নিবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেওয়ার জবাব আমরা চাই। তাদের অনশন এখন আরও তীব্র হবে বলে জানান তিনি।
উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী রাম প্রশাদ জয় বলেন, প্রশাসন যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন ভালো কথা কিন্তু তাদের গায়ে হাত তোলার সাহস তারা কোথায় পায়। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পুরো ডিপার্টমেন্ট একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন গড়ে তুলবো। শিক্ষার্থীরা এক হয়ে তীব্র আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এর আগেও বিকাল সাড়ে ৩টায় উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙ্গাতে বিভাগের শিক্ষকরা আসেন। অনশন ভাঙাতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম.তারেক নূর করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, উর্দু বিভাগের প্রথমবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। তারমধ্যে ১৭ জন ফেল করেছে। বাকিদের ফলাফলও খুবই খারাপ।
তাদের দাবি, বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যকার রাজনীতির কারণে ফলাফলের এমন অবস্থা। এ নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অভিযোগ করলে একাধিকবার আশ্বাস দিলেও ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা অনশন শুরু করেছেন। দ্রুত সমাধান না পেলে আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন আন্দোলনকারীরা।