'মগজচাষেই মাদকনাশ'
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট অর্গানাইজেশন (জেইউডিও)। সংগঠনটি বিতর্ককে সামাজিক আন্দোলনে রুপ দেবার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর সংগঠনটি জাতীয় বিতর্ক উৎসব শীর্ষক একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তবে নিয়মিত আয়োজনের বাইরে এবারে তাদের আয়োজন বর্তমান সময়ের আলোচিত সামাজিক সমস্যা মাদক নিয়ে। জেইউডিও'র সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় হচ্ছে প্রতিযোগিতাটি।
'মগজচাষেই মাদকনাশ' স্লোগানে গত ২৫ নভেম্বর সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনে আন্তঃস্কুল বিতর্কের মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়।
আরও পড়ুন: চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ৫০টি কক্ষ ভাঙচুর, আহত অন্তত ২০
এবারের উৎসবটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৫ নভেম্বর ১১তম জাতীয় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ২৬ নভেম্বর ১১তম জাতীয় আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও ২ ডিসেম্বর ১৭ তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিতর্ক উৎসবের তিন পর্যায়ের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সংসদীয় পদ্ধতিতে ও বাংলা মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক উৎসবে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩২টি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৬টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ছিল অনুষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ । গ্রুপ পর্বের প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনে হলেও চূড়ান্ত পর্ব এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের মত এবারও শত শত দশর্ক মুখিয়ে আছে অনুষ্ঠানটি উপভোগের জন্য।
সমাজ থেকে মাদকের ছোবল দূর করতে জেইডিও'র আয়োজনের প্রশসায় পঞ্চমুখ অনেকেই। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, জেইউডিও'র আয়োজন সবসময় ভালো লাগে কারণ তাদের আয়োজন অনেক সুন্দর হয়। তবে এবারের আয়োজন আরো ব্যতিক্রমী এ প্রশংসার দাবি রাখে। মাদকের মতো একটি সামাজিক সমস্যা নিয়ে তারা কথা বলছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকেও ধন্যবাদ আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে থাকার জন্য। আশা করি মগজচাষে মাদকনাশ হবে।
আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’ এটা রাজনৈতিক স্লোগান নয়: তোফায়েল আহমেদ
সংগঠনের সভাপতি ফারহান আনজুম করিম বলেন, জেইউডিও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিতর্কের চর্চা, প্রশিক্ষণ ও আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তিবাদী সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জেইউডিও সারাবছরই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিতার্কিকদের মন ও মননের উন্নতিতে কাজ করে। তারই অংশ এই আয়োজন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সার্বিক সহযোগিতার জন্য।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জিল্লাল হোসেন সৌরভ বলেন, যুক্তিবাদী ও চিন্তাশীল মননের মানুষ তৈরীর জন্য জেইউডিও অগ্রণী। এবারে সমাজের অন্যতম বড় একটি সমস্যা মাদক নিয়ে আমাদের আয়োজন। ডিএনসি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।