নবীনদের পদচারণায় মুখর চবি ক্যাম্পাস
এবার জানুয়ারিতে নয়, ডিসেম্বরের প্রথম দিন (১ ডিসেম্বর) থেকেই নবীন শিক্ষার্থীরা পদচারণা শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিন সব বিভাগে থেকেই শুরু হয়েছে নবীনদের শ্রেণি কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়েছে স্নাতক প্রথম বর্ষের এসব নবীন শিক্ষার্থীদের।
হাজারো প্রতিযোগীকে পাশ কাটিয়ে ভর্তিযুদ্ধে জয়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর এ ক্যাম্পাসের প্রথম দিনটি ছিল অনন্য-অসাধারণ। শাটলের ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত ২ হাজার ৩১২ একরের চবি ক্যাম্পাস।
ইতিহাস-আরবী বিভাগসহ অনেকগুলো বিভাগ প্রথম দিনেই নবীনবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেন। আরবী বিভাগের নবীনবরণে অধ্যাপক ড. এসএম রফিকুল আলম বলেন, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তোমরা কারো কাছে অধীন নও। তবে, তোমরা সবসময়ই নিজের কাছে অধীন। এমন কাজ যেন তোমাদের দ্বারা না হয়, যার কারণে নিজের কাছেই নিজেকে ছোট হতে হয়।
তিনি আরও বলেন, তোমাদের নিজেদেরকেই নিজেদের সকল অধিকার আদায় করে নিতে হবে। প্রশাসনিক কাজকর্ম সম্পর্কে তোমাদের পূর্ব থেকেই জোড় সচেতন থাকতে হবে। যেন এখান থেকেই দেশ ও জাতির জন্য তোমরা যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বের হয়ে যেতে পারো।
ক্যাম্পাসের প্রথম দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে নবীন শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, আজকে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাস ছিল। আজ আমি অনেক আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রকৃতি সবকিছুই আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে।
নবীন শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাস করলাম আজ। খুব ভালো লাগছে। এখানে এসে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মানুষদের সাথে মিশতে পারছি। এছাড়া, সবচেয়ে ভালো লাগার কারণ হলো এখানে কো-কারিকুলাম ও এক্সট্রা-কারিকুলামসহ নানান অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এদিকে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বিভিন্ন বিভাগের অনুষ্ঠানে পরিদর্শন করেন। প্রথমে তিনি ইতিহাস ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ এবং সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপাচার্য তার বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, একটি কঠিন প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজের ছোট্ট গন্ডি পেরিয়ে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার সুযোগ লাভ করেছে। এটি তাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। এই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানভান্ডার হতে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি মাননীয় উপাচার্য আহ্বান জানান।