ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন নিমেষেই শেষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন লিমন কুমার রায় (২০) নামে এক শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য নামে ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
লিমন রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর (ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ) এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের চার তলায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরে।
রিকশা চালিয়ে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছেন লিমনের বাবা প্রভাশ চন্দ্র রায়। বাবার কষ্টের মান রেখে ছেলে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রভাশ চন্দ্র-নীলা রানী দম্পতির স্বপ্ন ছিল অভাবের সংসারে সুখ আসবে ছেলের হাত ধরে। কিন্তু ছেলের অকাল মৃত্যুর সংবাদে সব স্বপ্ন যেন নিমেষেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের। সন্তান হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন তাঁরা।
বুধবার বিকেলে লিমনের বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার লিমন এভাবে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যেতে পারে না। এর পেছনে কোনো কারণ থাকতে পারে। এ সময় তিনি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
লিমনের চাচা নারায়ণ চন্দ্র বলেন, দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে লিমন সবার বড়। তাঁর বাবা রিকশা চালিয়ে ও মা নীলা রানী রায় অন্যের জমিতে কৃষাণীর কাজ করে যে আয় হয়, তা দিয়ে সংসারের ভরণপোষণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ভাতিজা লিমন মেধাবী হওয়ায় এলাকার মানুষজনও তাঁর লেখাপড়ার খরচ চালাতে সহযোগিতা করে আসছে। লিমনের মৃত্যুতে এখন নির্বাক হয়ে রয়েছে তাঁর বাবা-মা।