চবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দেয়ায় অবরুদ্ধ ১০ শিক্ষক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্লাস রুমের তালা মেরে তা অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কয়েকজন শিক্ষক সে তালা ভেঙ্গে ফেলেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষকদের ইনস্টিটিউটের ভেতরে রেখে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা তালাবদ্ধ রেখেছেন ইনস্টিটিউটে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার এম এ সাকুরসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষককে।
জানা যায়, রবিবার বিকেল চারটায় ১০ জন শিক্ষক চারুকলার চলমান আন্দোলন সমাধানে গঠিত কমিটির কাগজপত্র নেওয়ার উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের অনুমতি নিয়েই ভিতরে প্রবেশ করেন। তবে তারা ক্লাস রুমের তালা ভাঙতে থাকেন কাগজপত্র নেওয়ার নামে। তারা একাধিক ফাইল বিভিন্ন রুম থেকে সংগ্রহ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা একে চলমান আন্দোলনের বাধা হিসেবে মনে করছেন। তাই তালা ভাঙার প্রতিবাদে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কাগজের আগুন দামে বই প্রকাশকদের মাথায় হাত
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাসরুর আল ফাহিম জানান, শিক্ষকদের প্রতি সম্মান রেখে আন্দোলন চলাকালীন সময়েও আমরা তাদের প্রবেশ করতে দিয়েছি। কিন্ত তারা আমাদের আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ ক্লাস রুমের তালা ভাঙছেন এবং একাধিক ফাইল নিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে তাদের অবরুদ্ধ করেছি।
তালাবদ্ধ শিক্ষক মুহাম্মদ ইয়াকুব জানান, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেই কিছু কাগজপত্র নিতে এসেছি। এখানে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কিছু ফাইল থেকে গেছে, সেগুলো সংগ্রহ করার জন্যই তালা ভাঙতে হচ্ছে। শিক্ষকরা সঙ্গে করে চাবি আনেননি। ব্যক্তিগত ফাইল তো নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা এখানে বাধা দিতে পারে না। এগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা, আর কিছু নয়।
প্রসঙ্গত, চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্দোলন চলছে ২ নভেম্বর থেকে। ২২ দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি এখন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে হবে। এই দাবিতে গত বুধবার থেকেই চারুকলা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।