ঢাবির স্বর্ণপদকও একসঙ্গে জয় করলেন মাসুদ ও সাকিব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাবর্তনে স্বর্ণপদক জয় করে নিয়েছেন মো. নাজমুছ সাকিব ও মো. মাসুদ রানা। স্নাতকে (বিবিএ) অসাধারণ ফলের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তারা। দুজনের বাড়িই একই জেলায়। পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে। হলও ছিল একই। স্বর্ণপদকও নিলেন একসঙ্গে। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মো. আব্দুল হামিদের কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন তারা।
সাকিব ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতক ও ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ-৪ পান তিনি। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ডিনস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সরাপপুর গ্রামের নাজমুছ সাকিব।
মাসুদ ২০২০ সালে স্নাতক ও ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর শেষ। স্নাতকোত্তরে তিনি সিজিপিএ-৩.৯৬ অর্জন করেন এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। অস্ট্রেলিয়া সরকার তাকে ‘অ্যানডিয়াভর লিডারশিপ প্রোগ্রাম অ্যাওয়ার্ড’ দেয়।সপ্তাহব্যাপী স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামেও আমন্ত্রণ জানায় তাকে। আর সদর উপজেলার দক্ষিণ কাটিয়া গ্রামের মাসুদ রানা।
সাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্নেল মালেক স্বর্ণপদক-২০১৮ এবং মাসুদ অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম স্বর্ণপদক-২০১৯ পেয়েছেন। সাকিব ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন।
দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। বিভিন্ন জার্নালে তাদের বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সাকিব ‘মাতৃভূমি শোভনালী’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক। মাসুদ রানা ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব সাতক্ষীরার (ডুসাস) সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরো পড়ুন: শিক্ষকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়াকে অগ্রাধিকার দেন: রাষ্ট্রপতি
মাসুদ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডজান্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সাকিব ২০১২ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষাবোর্ডে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। ২০১৫ সালে ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তি হন তিনি।
মাসুদ ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা পিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ মাধ্যমিক ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। মাধ্যমিকের ফলে যশোর বোর্ডে চতুর্থ হন তিনি। ২০১৬ সালে ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তি হন।