ভালো থাকুক অনুজরা, প্রত্যাশা ঢাবির গ্রাজুয়েটদের
৫৩ তম সমাবর্তনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) ক্যাম্পাস ছিলো আজ উৎসবমুখর। প্রত্যেক গ্রাজুয়েটই নিজেদের মতো করে উদযাপন করছেন এই দিনটিকে। কেউ নিয়ে এসেছেন নিজেদের পরিবারকে এই দিনটিকে উপভোগ করার জন্যে। নিজেদের সহপাঠীদের সাথে নানা আঙ্গিকে মেতে উঠছেন প্রত্যেকে। কেউ উড়ন্ত গ্রাজুয়েট, কেউ আবার ঝুলন্ত গ্রাজুয়েট, কেউ আবার…।
এরই মধ্যে দেখা যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর চমৎকার উদ্যোগ। ঢাবি শিক্ষার্থীদের জীবনমান ও পড়াশোনার মান উন্নয়নে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এবং তাতে স্বাক্ষর করেছেন গ্র্যাজুয়েটরা। তাতে লেখা ছিল কবি সুকান্তের সেই ‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’ লাইনটি ।
নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন এক গ্র্যাজুয়েটরা পিতা। নিজের সন্তানের জন্যে স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে তার আকুল আকাঙ্ক্ষা।
ব্যানারে গ্র্যাজুয়েটদের আটটি দাবির কথা লেখা হয়েছে। দাবিগুলো হল- সকল শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত হোক, গণরুমে তাদের স্বপ্নগুলো পঁচে না যাক, ক্যাম্পাসে ও হলে ছাত্র নিপীড়ন বন্ধ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হোক, গবেষণার পরিধি বাড়ুক, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস নিশ্চিত হোক, লাইব্রেরী, রিডিং রুম, ক্লাস রুম ও ভার্সিটি বাসে পর্যাপ্ত সিট নিশ্চিত হোক, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ধারা অব্যাহত থাকুক।
এই আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে দেখা গিয়েছে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখি যে এই বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ সমস্যায় ভরে আছে। শিক্ষার পরিবেশের অবস্থা নাজুক। শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত তাদের অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা থেকে। তাই সমাবর্তনের দিনে একপ্রকার বিদায় বেলায় আমাদের আকুতিগুলো তুলে ধরেছি ছবির ব্যানারে। আমরা যেসব সমস্যা সয়েছি, আমাদের অনুজদের যেনো সেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় এই আমাদের কামনা। আমরা চাই আমাদের অনুজরা ভালো থাকুক। ভালো থাকুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’
তিনি তার বক্তব্যে এই আয়োজনে সংহতি জানিয়ে স্বাক্ষরকারী গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই আট দফা দাবি বাস্তবায়ন করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।