অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে আজ, অংশ নিচ্ছেন রেকর্ডসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫৩তম সমাবর্তন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ মোট তিনটি ভেন্যু অনুষ্ঠিত হবে এই সমাবর্তন। আলাদা ভেন্যুতে হবে সাত কলেজের সমাবর্তন। সমাবর্তনে অংশ নিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেড়েছে পদকও। সে হিসাবে এবার পদক ও ডিগ্রি গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট।
এবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্রাজুয়েট অংশ নেবেন। এই সংখ্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের ইতিহাসে সর্বাধিক। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। কাঙ্খিত এই দিনে কালো গাউন ও হ্যাট পরে দিনটি ক্যামেরাবন্দি করবেন শিক্ষার্থীরা। নিজ নিজ বিভাগ কিংবা অনুষদের সামনে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সঙ্গে একই ফ্রেমে নিজেদের স্মৃতি ধরে রাখবেন তারা।
অপরাজেয় বাংলা, কার্জন হল, দোয়েল চত্বর, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, সিনেট ভবন, রাজু ভাস্কর্য, শহীদ মিনার, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর, টিএসসি, হাকিম ও মিলন চত্বর, মধুর ক্যান্টিনসহ ঘুরে বেড়ানো জায়গাগুলোর স্মৃতি ধরে রাখবেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ৪টি সমাবর্তনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে ঢাবির ৫০তম সমার্বতনে মোট ১৭ হাজার ৮৭৫ জন স্নাতক এবারের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছিলেন। পরের বছর ২০১৮ সালে ২১ হাজার ১১১ জন গ্র্যাজুয়েট ৫১তম সমার্বতনে অংশ নেন। সর্বশেষ, ২০১৯ সালে ৫২তম সমাবর্তনে অংশ নিতে নিবন্ধিত করেছিলেন ২০ হাজার ৭৯৬ জন গ্র্যাজুয়েট।
এদিকে, ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দুই বছর (২০২০ ও ২০২১ সাল) সমার্বতনের আয়োজন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে কারণে ৫৩তম সমার্বতনে রেকর্ডসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, অত্যন্ত আনন্দের যে ৫৩তম সমাবর্তনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করেছেন। যা বিগত সময় কখনো ঘটেনি।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেড়েছে পদেকর সংখ্যাও। এবার ১৫৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকের বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এসব স্বর্ণপদক দেওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তাছাড়া সমাবর্তনে ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে।
গতবারের সমাবর্তনে ৯৮টি স্বর্ণপদক, ৫৭ জনকে পিএইচডি, ছয়জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল।