সমাবর্তনের দিন ঢাবি ক্যাম্পাসে যা করা যাবে, যা করা যাবে না
আগামী শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে সমাবর্তনের মূল আয়োজন।এবারের সমাবর্তনে অংশ নেবেন ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক। এদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন।
তাছাড়া অধিভুক্ত সাত কলেজের দুই ৭ হাজার ৭৯৬ জন সমাবর্তনে অংশ নেবেন। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের মাঠ থেকে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য জানান, সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সভাপতিত্ব করবেন।
এবারের সমাবর্তনে ১৫৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকের বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এসব স্বর্ণপদক দেওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া সমাবর্তনে ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য সমাবর্তনের খুঁটিনাটি বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, সমাবর্তনের দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে মাননীয় চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা এবং ১২টায় সমাবর্তন শুরু হবে। সমাবর্তনে নোবেল বিজয়ী ফরাসী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
১) সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং কনস্টিট্যুয়েন্ট কলেজের অধ্যক্ষ/ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সমাবর্তন শোভাযাত্রা আরম্ভস্থল কার্জন হল প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন।
২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ খেলার মাঠের সুইমিংপুল সংলগ্ন গেইট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল সাড়ে ৯টায় গেইট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করার পর কোনক্রমেই মঞ্চের আশেপাশে ও অন্যান্য স্থানে ঘুরাফেরা করা যাবে না।
৩) আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জিমনেসিয়াম সংলগ্ন গেইট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাঁদের জন্য সকাল ১০টায় গেইট খোলা হবে এবং তাঁরা সকাল ১১.৩০টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন।
৪) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এবং রেজিস্ট্রেশনকৃত অ্যাজুয়েটগণ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং তারা সমাবর্তনস্থলে সকাল ১১টা ২০ মিনিটের মধ্যে আসন গ্রহণ করবেন।
৫) সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইডি/পাসপোর্ট সাথে আনতে হবে। আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সমাবর্তনস্থলে মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
৬) সমাবর্তনস্থলে প্রবেশের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।
৭) সমাবর্তনের দিন ভিআইপি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের গাড়ি শহীদ মিনার সংলগ্ন সায়েন্স এনেক্স ভবন মাঠে পাকিং ব্যবস্থা থাকবে। বাকিদের গাড়ি এসএম হল মাঠ, মুহসীন হল মাঠ এবং ফুলার রোডে পাকিং করতে হবে।
৮) সমাবর্তনের দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টিএসসি-দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বর এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তার গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
৯) সমাবর্তনের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে শাহবাগ থেকে টিএসসি, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশেপাশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় গ্র্যাজুয়েট ও আগত অতিথিদের কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য ঢাবি পরিবারের সকল সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় সহযোগিতা কামনা করেছেন উপাচার্য।