বঙ্গবন্ধুর নামে স্কলারশিপ চালু করতে চাই: জাবি উপাচার্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে স্কলারশিপ চালু করার কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করতে চাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সবসময় রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও যেন তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে এজন্য স্কলারশিপ গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ অর্ডিন্যান্স জারি করে সেশন জট কমিয়ে আনতে কাজ করেছে। বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় আমাদের ৫জন শিক্ষক এবং ১ জন ছাত্রের নাম এসেছে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে আমরা এই মাসেই নতুন হলের উদ্বোধন করব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর গণরুম শব্দটি থাকবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্নাতকোত্তরে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার কোন বয়স নেই। সকল বয়সের মানুষেরই শিক্ষার অধিকার আছে। কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে তবেই ভর্তির সুযোগ পাবে। তার বয়স কুড়ি না পঞ্চাশ, তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। বয়সের এমন প্রতিবন্ধকতা থাকলে আমরা যারা বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছি, অনেকেই এই সুযোগ পেতাম না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষা নিশ্চিত করতে বয়স, অর্থ ও সব রকমের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সংকীর্ণতামুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকেও মুক্তমনা হতে হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) শেখ মো. মনজুরুল হক, গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তাহমিনা ফেরদৌস, অধ্যাপক এ এ মামুন এবং বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।